ঢাকা রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

আদালতে হ্যাৎ, হ্যাৎ করে চিৎকার–চেঁচামেচি করেন হাজি সেলিম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
হাজি সেলিমকে আজ বুধবার আদালতে হাজির করা হয়

চুপচাপ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক এমপি হাজি সেলিম। কথা বলার জন্য কাঠগড়ার কাছে যান তার আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়। আইনজীবী হাজি সেলিমকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর দিতে অনুরোধ করেন। আইনজীবীর এ কথা শুনে ক্ষেপে যান হাজি সেলিম। তিনি রাগান্বিত স্বরে হ্যাৎ, হ্যাৎ.... বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে এজলাসে উপস্থিত অন্যরা হতবাক হয়ে যান।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিভিন্ন হত্যা মামলায় হাজি সেলিমসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কাঠগড়ায় সালমান এফ রহমানকে দেখে হাত উঁচু করে সালাম দেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সালাম গ্রহণ করেন সালমান এফ রহমান। পরে তিনি দীপু মনির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

তখন কাঠগড়ায় নিশ্চুপ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজি সেলিম। হাজি সেলিমের সঙ্গে কথা বলার জন্য কাঠগড়ার কাছে যান তার আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়। আইনজীবী তখন হাজি সেলিমকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আইনজীবীর এ কথা শুনে ক্ষেপে ওঠেন হাজি সেলিম। অসুস্থতাজনিত কারণে তার কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। তিনি রাগান্বিত স্বরে হ্যাৎ, হ্যাৎ.. বলে চিৎকার–চেঁচামেচি করতে থাকেন।

হাজি সেলিমের চিৎকার শুনে এজলাসে উপস্থিত অন্যরা হতবাক হয়ে যান। হাজি সেলিমের মেজাজ হারানোর বিষয় তার আইনজীবীর সঙ্গে এ সময় কথা বলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক এমপি সাদেক খান।

তখন তিনি আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়কে উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। হাজি সেলিমের কথা কারাগারে কেউ বোঝেন না। খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’

এ সময় হাজি সেলিম তার ডান হাত কাঠগড়ার লোহার রডের ওপর রাখেন। তিনি মুখ গম্ভীর করে থাকেন। তার সামনে একটি ওকালতনামা ডান হাতে ধরে রাখেন আইনজীবী প্রাণ নাথ। ওকালত নামায় স্বাক্ষর করার জন্য হাজি সেলিমকে অনুরোধ করতে থাকেন তিনি। এ সময় হাজি সেলিম ওকালতনামায় স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেন হাজি সেলিম।

পরে আইনজীবী প্রাণ নাথ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাজি সেলিম কারাগারে ভালো নেই, সেটাই তিনি আমাকে অভিমানের সুরে বলেছেন। খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। তার ডায়াবেটিস রয়েছে।’

আইনজীবী আরও বলেন, হাজি সেলিম ও তার ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারে। একই কারাগারে থাকলেও তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয় না।

অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এ কে এম শহিদুল হক ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।