দেশের তিন জেলার বিভিন্ন আদালতে ২০০ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো- বগুড়া, ঠাকুরগাঁও এবং ঝিনাইদহ। এর মধ্যে বগুড়ায় ১০৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১ জন এবং ঝিনাইদহের আদালতে ৭২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর শাখা থেকে এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে এসব আইন কর্মকর্তাদের তিন জেলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আদেশে জানানো হয়, পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে নিজ নিজ জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’ এর ৪৯২ ধারা এবং ‘দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০’ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ১ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি-৯ এবং ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি-১৭ এর বিধান অনুযায়ী এসব আইন কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে মো. শফিকুল ইসলাম (টুকু) ও মো. আব্দুল বাছেদ। পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে মো. মোকাররম হোসেন টুলু ও এসএম মশিয়ুর রহমান।
উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা এই নিয়োগ আদেশের মধ্যদিয়ে বগুড়া, ঠাকুরগাঁও ও ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ছাড়াও এর অধীন আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জজ আদালতে আগে নিয়োগ করা সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদের নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও আদেশে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :