সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালতে আনার সময় আদালত প্রাঙ্গণে সাধারণ মানুষ, সমর্থকদের ঢল নামে। তখন স্বভাবসুলভ হাসি মুখেই দেখা গেছে শাজাহান খানকে।
পুলিশের ভিড়ের মধ্য থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের দিকে হাসি মুখেই তাকিয়ে ছিলেন ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এই শ্রমিক নেতা। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মুখেও দেখা গেছে হাসি এবং উৎফুল্লতা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাজিদ উল হাসান চৌধুরী আদালতে শাজাহান খান ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপের জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ব্যাপক পুলিশি পাহারায় মাদারীপুর কারাগার থেকে সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শাজাহান খান ও আব্দুস সোবাহন গোলাপ একাধিক হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুরে নিহত দীপ্ত ও তাওহিদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এই সাবেক দুই এমপি। নিহত হওয়ার ঘটনায় মাদারীপুরে দুটি মামলা হয়। সেই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শাজাহান খান ও গোলাপ।
আপনার মতামত লিখুন :