সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ড শুনানির সময় আদালতকে বলেছেন, আমরা দু’জনই (আমি ও সালমান এফ রহমান) কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি নির্দোষ। ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) শুনানি শেষে তাদের চতুর্থ দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া সাবেক এমপি সাদেক খান ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন সকাল ৭টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরী তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম উল্লেখ করেন, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক মামলার এজাহারনামীয় ৪ ও ৫ নম্বর আসামি। এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়সহ সুমন সিকদারকে (৩১) হত্যার ঘটনা তারা অবগত আছেন। এছাড়া তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের উসকানি দেওয়াসহ গুলি করে লোক হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
এর আগে ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দু’জনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
প্রথম দফার রিমান্ড শেষে ২৪ আগস্ট তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আপনার মতামত লিখুন :