জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, এই মামলায় খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছিল এবং চার দিনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মূলত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত মামলা। এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় আজ
এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামির আপিল আবেদন নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে চার দিন ধরে শুনানি হয়।
শুনানিতে, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকাই আত্মসাৎ হয়নি এবং কুয়েতের আমিরের পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যাংকেই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে টাকাটি ট্রাস্টের জন্য অন্য ফান্ডে ট্রান্সফার করা হয়েছে, তবে এতে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং বেগম খালেদা জিয়া কোনো ধরনের বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, কোনো অপরাধের প্রমাণ না পাওয়ার পরও অনুমান নির্ভর অভিযোগের ভিত্তিতে বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এটি ছিল একটি ফরমায়েশি রায়, যার উদ্দেশ্য ছিল জিয়া পরিবারকে রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দূরে রাখা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরদিন, ৬ আগস্ট, রাষ্ট্রপতি বেগম খালেদা জিয়াকে দুই মামলার সাজা মওকুফ করে দেন। তবে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইনি লড়াইয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইনি লড়াই অব্যাহত রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :