ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

ধর্মের বোন ডেকে কাছে এসে ছেলেকে অপহরণ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

ধর্মের বোন ডেকে কাছে এসে ছেলেকে অপহরণ

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: হৃদয় নামের ৩০ বছর বয়সী যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় এক নারীর। এক পর্যায়ে ওই নারীকে ধর্মের বোন ডাকেন সেই যুবক। তারা অপরের সঙ্গে দেখাও করেন একাধিকবার। সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ৮ বছরের সন্তান তুষারকে নিয়ে রাজধানীর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান সেই নারী। পরে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তুষারকে অপহরণ করে বাদল ওরফে হৃদয়।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস।

গতকাল শনিবার রাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌথ অভিযান চালিয়ে অপহৃত আব্দুল্লাহ আল নূর তুষারকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

মো. মুনীম ফেরদৌস বলেন, অপহরণকারী হৃদয়ের আসল নাম বাদল। তিনি ছদ্মনামে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেন। এতে তার স্ত্রীও তাকে সহযোগিতা করে। এলাকায় তাদের অনেক দেনা রয়েছে। তাই প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন তারা। যদিও অভিযানে তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি র‌্যাব।

তুষারকে অপহরণ সম্পর্কে মুনীম ফেরদৌস বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় আব্দুল্লাহ আল নূর তুষার নামের এক শিশু অপহরণের শিকার হয়। ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয়ের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে ঘটনার দিন ভিকটিমকে নিয়ে তার মা সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় হৃদয়ের সাথে দেখা করতে যায়। পরবর্তীতে অপহরণকারী বাদল তুষারকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর মা সদরঘাটের সোয়ারীঘাট ও এর আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরবর্তীতে ২ অক্টোবর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে গত ২ অক্টোবর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে ফোন করে মুক্তিপণ দুই লাখ টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তুষারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৬ হাজার টাকা দেয়।

তিনি আরও জানান, অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় মুক্তিপণ আদায় করতে তুষারকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। অতঃপর তুষারের বাবা র‌্যাব-২ এর কাছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অপহৃত তুষারাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে।

অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।

আরবি/এস

Link copied!