বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার জন্য নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিন ধার্য রয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন ঠিক করেন।
নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন গত সপ্তাহে রিট আবেদনে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। ইতিমধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৫৭ এবং ৫৮ অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং এই দুটি অনুচ্ছেদ অনুসারে পরবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের অবশ্যই পদে থাকতে হবে।
আবেদনকারী বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে সংবিধানের ১২৩ (৩) (খ) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হবে। এ লঙ্ঘনের জন্য সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিদ্যমান আইনে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। তাই সংবিধান লঙ্ঘন এড়াতে বর্তমান সরকারকে বিপ্লবী সরকার হিসেবে ঘোষণা করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :