ঢাকা: নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রিটটি দায়ের করেন এনডিএমএর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
তিনি জানান, রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করেছিলেন তারা। দুদক এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে পাবনার রূপপুরে। রাশিয়ার ঋণে কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে সেদেশেরই সংস্থা রোসাটম।
কিন্তু ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রের `বিশাল` নির্মাণ ব্যয় নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে।
গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রোসাটমের কাছ থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কিনতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এতে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়ার ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন রাশিয়ান স্ল্যাশ ফান্ড থেকে এই ৫ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তরে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করেছিল রোসাটম। যাতে মধ্যস্থতা করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকী।
তবে ডিফেন্স কর্পের সংবাদের দাবি অস্বীকার করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ান সংস্থা রোসাটম।
আর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ৫ বিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার খবরকে `গুজব` ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
সম্প্রতি তিনি বলেন, নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটি গুজব ও মিথ্যা। এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি রোসাটম ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :