বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিসহ ১১টি দলকে যে কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম, তিনজন আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন।
এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
এর বাহিরে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিটও করেছেন তারা। রিটের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।
যে ১১টি রাজনৈতিক দলগুলোকে বিবাদী করে রিট করা হয়েছে সেগুলো হলো..
১। আওয়ামী লীগ
২। জাতীয় পার্টি
৩। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
৪। বিকল্পধারা বাংলাদেশ
৫। তরীকত ফেডারেশন
৬। কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ
৭। এলডিপি
৮। জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)
৯। গণতন্ত্রী দল
১০। মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া)
১১। সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
রিটে ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে ।
রিট আবেদনের পর নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রিটের বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। পোস্টে তারা লিখেছেন,
‘আজকে ২টি রিট করেছি। ১. আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট।
২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদের পলিটিক্যাল সব এক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট।
দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলেও তারা উল্লেখ করেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :