সারা বছরই চশমার ফ্যাশনে নানা ট্রেন্ড ঘুরে ফিরে আসে। এখন সব বয়সী মানুষকেই চশমা পরতে দেখা যায়। তবে তরুণ-তরুণীদের কাছে এটি ফ্যাশন। বাইরে বের হলেই রোদ আর ধুলাবালি। শুধু রোদ কিংবা ধুলাবালির জন্য নয়, আধুনিক লাইফস্টাইলে চশমা এখন অত্যাবশ্যকীয়। তাই ফ্যাশন সচেতন মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে ভিন্ন সব স্টাইলের চশমা। রাইট ভিশনের মালিক মো. আহসান কবীর বাবু বলেন, ‘স্টাইলের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্বতন্ত্র ভাব। যেমন- খেলাধুলার চশমার ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছুটা হালকা ওজনের। স্পোর্টিং ভাব আনতেই উপকরণ হিসেবে ফ্রেম ব্যবহার করা হয় কিছুটা হালকা সাইজের। সানগ্লাস নিয়ে সতর্কতা একটু বেশি জরুরি। চশমা ওজনে হাল্কা হলে পরতে বেশ আরামদায়ক লাগে।
আবার ভারি ফ্রেমের সানগ্লাসও বাজারে অনেক। ভারি ফ্রেমের গ্লাস কিনতে আমেরিকান আর্মি, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর জনপ্রিয়। অন্যদিকে এডিডাস, ওকলে, কেলভিন ক্লেইনের চশমাও পছন্দ ক্রেতাদের। তবে তরুণ-তরুণীদের জন্য পছন্দের নামগুলো হলো ডলচে অ্যান্ড গ্যাব্বানা, পুলিস, প্রাডা, জর্জিও আরমানি ইত্যাদি ব্র্যান্ড। ভালো ব্র্যান্ডের আসল চশমা কিনতে চাইলে ভালো দোকান থেকে কিনতে হবে। ফ্যাশন ভেদে চশমার দাম নির্ধারণ করা হয়। স্বল্পমূল্য থেকে অধিক মূল্যের ও চশমা পাওয়া যায় আমার দোকানে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের চশমাই আমি রাখার চেষ্টা করি যাতে করে কোনো ক্রেতা ফিরে না যায়।’
পুরুষ ও নারী প্রত্যেকের ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং ডিমান্ড। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ছেলে-মেয়েদের পুরুষ ও নারী প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং ডিমান্ড। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ছেলে-মেয়েদের একই রকম স্টাইল। ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা ডিজাইনের চশমা পাওয়া যায়। নিজের মুখের আকৃতি, রুচি এবং ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় রেখে চশমা কেনা উচিত। চেহারা গোলগাল হলে একটু লম্বাটে ধরনের চশমা বেছে নেওয়া উচিত। আবার একটু লম্বাটে ধরনের মুখ হলে বিপরীত ডিজাইন। কালো, খয়েরি, সবুজ, ধূসর, নীলসহ বিভিন্ন রঙের চশমা বাজারে পাওয়া যায়।
মো. আহসান কবীর বাবু বলেন, ‘ইদানীং অবশ্য একটু পুরোনো আদলের ডিজাইনগুলো নতুনভাবে ঘুরে ফিরে এসেছে। এবং পুরোনো ডিজাইনের চশমার চাহিদাই বাজারে বেশি। বড় ফ্রেম গোল কাঁচের গ্লাসের চশমাগুলো মেয়েরা একটু বেশি ব্যবহার করে থাকে।’
আপনার মতামত লিখুন :