ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

হোমওয়ার্ক করার সঠিক সময়

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০২:৩০ পিএম

হোমওয়ার্ক করার সঠিক সময়

ছবি: সংগৃহীত

ঘড়ি ধরে পড়তে বসায় কারো কি আগ্রহ থাকে?

তবে খুদে দুষ্টুমি করুক বা বায়না, তাদের পড়তে বসাতে হবেই। বিশেষ করে স্কুলের পড়া নিয়ম মেনেই করাতে হবে। কিন্তু তাই বলে বকাঝকা করাটা সমস্যার সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উৎসাহেই শিশুর পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি হতে পারে। আর সময় ধরে পড়তে বসালে, পড়াও ভালো হবে এবং সেই পড়া মনেও থাকবে শিশুর।


মনোবিদদের মতে, পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিন থাকা জরুরি। অর্থাৎ কোন সময়ে শিশুকে পড়তে বসাতে হবে তার একটা রুটিন মেনে চললে পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি হবে। পড়াশোনা, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সব কিছুর জন্যই সময় ভাগ করে নিতে হবে। বাচ্চারা সন্ধ্যা থেকে টিভি দেখে, এদিক-ওদিক ঘুরে বেশি রাতে পড়তে বসলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাদের পড়াশোনায় মন থাকবে না। আবার খুব ভোরে জোর করে ঘুম থেকে তুলে পড়া মুখস্থ করতে দিলে, পড়তে বসতেই চাইবে না। তাই সময় মেনে চলা খুব জরুরি।

 


হোমওয়ার্ক করার সঠিক সময় কোনটা?

 

১) স্কুল থেকে ফিরেই যদি ঝটপট হোমওয়ার্ক সেরে নিতে পারে, তা হলে ভালো হয়। মনোবিদদের পরামর্শ, স্কুলে যা পড়ানো হচ্ছে তা মনে থাকতে থাকতেই গৃহপাঠ শেষ করে নিতে হবে। এতে পড়াও মনে থাকবে আর ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

 

২) স্কুল থেকে ফিরে অনেক শিশুই পড়তে বসতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা খেলার সময় দিতে হবে। তবে ঘরে বসে মোবাইলে গেম নয়, বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা করা বা শরীরচর্চা করা ভালো। এতে চঞ্চলতা কমবে, মনও স্থির হবে। খেলাধুলার পর শিশুকে এমন খাবার দিতে হবে যা স্বাস্থ্যকর ও শক্তিবর্ধক। এর পরে পড়তে বসালে শিশু সম্পূর্ণ মনোসংযোগ করতে পারবে।

 

৩) সকালে ঘুম থেকে তুলেই পড়তে বসাবেন না শিশুকে। অন্তত ৩০-৪০ মিনিট সময় দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে শিশু যদি শরীরচর্চা করে বা যোগাসন করে তা হলে খুব ভালো হয়। এর পরে পড়তে বসালে, সেই পড়া ভালো হবে এবং পড়া মুখস্থও হবে।

 

৪) শিশুর স্কুল যদি দুপুর অবধি হয়, তা হলে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পড়তে বসানো ভালো। ওই সময়ে পড়াশোনা ভালো হয়। শিশু যত বেশি আলসেমি করবে ও সন্ধ্যা করে পড়তে বসবে ততই অমনোযোগী হয়ে উঠবে।

 

৫) দুপুরে ভারি খাবার খেয়ে বা রাতে খাওয়ার পরে পড়তে না বসানোই ভালো। ওই সময়টাতে অলসতা বাড়ে। বরং তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে ওই সময়ে মেডিটেশন বা ধ্যান করালে, শিশুর মনের অস্থিরতা কমবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!