বর্তমানে অনেকেই অকালেই চুলে পাক ধরতে দেখে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মূলত ভুল জীবনধারা, খারাপ অভ্যাস এবং কিছু বাহ্যিক প্রভাবের কারণে হয়ে থাকে। চলুন, জেনে নিই কেন অকালেই চুল পেকে যায়-
১. অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি
দীর্ঘসময় ধরে রোদে থাকতে এবং চুলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি পড়লে চুলের রং পরিবর্তিত হতে পারে এবং তা ধূসর হয়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে চুলকে রক্ষা করতে ছাতা, স্কার্ফ বা টুপি পরা উচিত।
২. মানসিক চাপ
দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে অনিদ্রা, উদ্বেগ এবং ক্ষুধার পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য। এই মানসিক চাপের ফলে অকাল চুল পাকা এবং চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত মেডিটেশন বা মানসিক শান্তির জন্য কিছু সময় কাটানো প্রয়োজন।
৩. চুলে তেল না দেওয়া
চুলে তেল না দেওয়ার ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায় এবং এটি অকালে পাকার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত তেল ব্যবহার করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪. ধূমপান
ধূমপান চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সিগারেটের টক্সিন উপাদান চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর ফলে চুলের রং ধূসর হয়ে যেতে পারে। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলা চুলের জন্য উপকারী।
৫. চুলে রাসায়নিক প্রসাধনীর ব্যবহার
অনেকেই চুলে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যা চুলের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। রাসায়নিক রং, হেয়ার জেল, শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহারে চুল অকালে পেকে যেতে পারে।
৬. সঠিক খাবার না খাওয়া
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টির অভাব হতে পারে, যা চুলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষত, ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার চুলের জন্য উপকারী।
তাহলে, চুলে অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া এবং সঠিক জীবনযাপন চুলকে অকাল পাকা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
আপনার মতামত লিখুন :