শীতের সন্নিবেশে স্তব্ধ থাকা পৃথিবী এখন আলোয় ভরপুর, রোদ্রের উষ্ণতা স্পর্শ করছে প্রতিটি পাপড়ি, প্রতিটি হৃদয়। বসন্তের এ আনন্দে তাই প্রকৃতি রূপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের সাজ-সজ্জার ধরনেও আসে পরিবর্তন। ফ্যাশনের ধারায় বসন্তের অন্যতম আকর্ষণ হলো ফুলের গহনা।
এসব গহনা শুধু সাজের অনুষঙ্গ নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার এক অনন্য প্রকাশও বটে। ঐতিহ্য ও আধুনিক রূেেপর ফুলের গহনা ব্যবহারের এই ঐতিহ্য বহু পুরোনো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুলের গহনার ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। আধুনিক ফ্যাশনে কৃত্রিম বা বাস্তব ফুল দিয়ে তৈরি গহনাগুলো নানা আকারে এবং রঙে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক গহনার ধরন, ফুলের রঙের প্রভাব এবং ব্যবহার সম্পর্কে:
বসন্তের সাজে ফুলের রঙের প্রভাব
বসন্ত মানেই নানা রঙের ছড়াছড়ি। বসন্তের ফুলের গহনায় তাই রঙের বৈচিত্র্য অনিবার্য। সাধারণত গোলাপি, হলুদ, কমলা, লাল এবং সাদা রঙের ফুল বেশি জনপ্রিয়। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা এবং কুন্দ ফুল দিয়ে তৈরি মালা, টিকলি, এবং কানের দুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সেগুলো বসন্তের আমেজকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে।
গহনার ধরন ও ব্যবহার
বসন্তের ফুলের গহনা বলতে কেবল ফুলের মালা নয়, বরং এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে টিকলি, ঝুমকা, কাঁকন, বালা, এবং আঙটির মতো আরও নানা প্রকারের গহনা। মাথার চূড়া থেকে শুরু করে পায়ের নূপুর পর্যন্ত সব কিছুতেই ফুলের ছোঁয়া রাখা যায়। বিশেষ করে মাথার মালা বা চূড়ায় বড় বড় ফুলের ব্যবহার এখনকার ট্রেন্ড। ফুলের কানের দুল ও হাতের বালা কিংবা আঙটির সংমিশ্রণে পুরো সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ফুলের গহনার যত্ন ও স্থায়িত্ব
যেহেতু ফুলের গহনা স্বাভাবিকভাবে কম স্থায়ী হয়, তাই এগুলো ব্যবহারে কিছুটা যত্নের প্রয়োজন। তাজা ফুলের গহনা সাজানোর পরে বেশি সময় ধরে তাজা রাখতে চাইলে ফুলগুলোতে হালকা পানি ছিটে দেওয়া যেতে পারে। তবে বিকল্প হিসেবে আজকাল কৃত্রিম ফুলের গহনাও পাওয়া যায়, যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং দেখতে প্রায় তাজা ফুলের মতোই সুন্দর। কৃত্রিম গহনা যারা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য আদর্শ।