বর্তমানে ফ্যাশন সচেতন টিন এজার থেকে শুরু করে সব বয়সি নারীরা নখ বড় রাখে একটু ফ্যাশন করার জন্য; কিন্তু শুধু কি ফ্যাশন করলেই হবে? নিতে হবে নখের যত্নও। সবার হাত-পায়ের নখের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি।বাড়িতে খুব সহজেই নেওয়া যায় নখের যত্ন। নখের অযত্নের কারণে অনেক সময় নখে ফাঙ্গাস ধরে, ধীরে ধীরে নখ খয় হয়ে যায়; তাই নখের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নখের সুস্থতার মূল শর্ত।
নখের নিচে সহজেই ময়লা জমে যায় অসাবধানতায় যার কারণে হতে পারে পেটের পীড়াও। সুস্থ-সুন্দর থাকতে তাই পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। আর নিয়মিত নখ কেটে ঠিকঠাক মাপে, ঠিকঠাক আকৃতিতে রাখতে হবে। নখের ওপরের দিক, ভেতরের দিক পরিষ্কার রাখতে হবে। নখের যত্নের জন্য ম্যানিকিউর করতে পারেন; যা বাড়িতে বা সেলুনেও করা যায়।
প্রতি সপ্তাহে যা করবেন
কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিলিয়ে নিন। এতে হাত ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে একটু শ্যাম্পু নিয়ে সেটির সাহায্যে নখ পরিষ্কার করে ফেলুন। নখের পাশ থেকে হালকা চামড়া ওঠা থাকলে কিউটিকল কাটার দিয়ে এবার সাবধানে কেটে ফেলুন (চামড়ার এ ধরনের অংশ কখনো টেনে তোলার চেষ্টা করবেন না)। এরপর নেইলফাইল ব্যবহার করুন। ঘষে নিন। চাইলে এরপর নেলপলিশ লাগাতে পারেন। এরপর নখ ও নখের চারপাশে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। নখ ও ত্বকের এই অংশটুকু কোমল থাকবে।
পায়ের নখের যত্নের জন্যও নিয়মটা একই। সপ্তাহে একবার করে এভাবে হাত ও পায়ের নখের যত্ন নিলে সুস্থ-সুন্দর নখ পাবেন। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলেও নিদেনপক্ষে ১৫ দিন অন্তর এভাবে হাত ও পায়ের নখের যত্ন নিতেই হবে।
কাজের সময়
রান্নাঘরে কাজ করার সময় হাত ও নখে নানান ধরনের কষ লেগে যেতে পারে। এ রকম হলে সঙ্গে সঙ্গে টমেটো কিংবা লেবুর টুকরা ঘষে হাত-নখ পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। তাহলে আর কালচে দাগ বা আঠালো ভাব হবে না, নখের তেমন কোনো ক্ষতিও হবে না।
রান্নাঘরের কাজের সময় হাতে গ্লাভস পরতে পারেন।
ঘুমানোর আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিতে পারেন।
নখ ও আঙুলের চারপাশ, নখের খাঁজ কিংবা আঙুলের ভাঁজে পানি লাগানোর পর অবশ্যই ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। দীর্ঘ সময় ভেজা অবস্থায় থাকলে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
খুব বড় নখ রাখলে ভেঙে গিয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে, তাই এমনটা না রাখাই ভালো।
নখে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এসব ক্ষেত্রে বাড়ির টোটকা কাজে লাগাতে গিয়ে হিতে-বিপরীত হতে পারে।
