ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

প্রোটিন বেশি থাকে যেসব ফলে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

প্রোটিন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান, যা সাধারণত মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডালজাতীয় খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। তবে ফলমূলও প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। যদিও ফলগুলোতে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে, তবুও কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো প্রোটিনে সমৃদ্ধ। যদি আপনি উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের উৎস খুঁজে থাকে, তবে নিচে কিছু ফলের তথ্য দেওয়া হলো-

১. পেয়ারা (প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন)

পেয়ারা ভিটামিন সি, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি পেয়ারা কাঁচা, ফলের সালাদে অথবা রস হিসেবে উপভোগ করতে পারেন।

২. কাঁঠাল (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন)

কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল, যা উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়াম। কাঁচা কাঁঠাল থেকে তৈরি নানা পদ যেমন স্টার-ফ্রাই বা কারি, মাংস খাওয়া কমানোর জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

৩. কমলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম প্রোটিন)

কমলা একটি জনপ্রিয় ফল যা ভিটামিন সি-র অন্যতম উৎস হলেও, এটি প্রোটিনও সরবরাহ করে। এতে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। কমলাকে নাস্তা হিসেবে বা সতেজ রস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৪. কলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.১ গ্রাম প্রোটিন)

কলা প্রোটিন ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস, যা পেশি শক্তিশালী রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কলা একটি সহজলভ্য ফল যা স্মুদি, আইসক্রিম, বা বেকড পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. অ্যাভোকাডো (প্রতি ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম প্রোটিন)

অ্যাভোকাডো একটি প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর ফল। এটি ফাইবার, পটাসিয়াম এবং হৃদরোগ-প্রতিরোধক মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সরবরাহ করে। অ্যাভোকাডো ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সহায়তা করে। এটি স্মুদি, সালাদ বা টোস্টের সাথে খেতে পারেন।