ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (৬ এপ্রিল) ভোরে মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় সাংবাদিক হিলমি আল-ফাকাওয়ি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০০-এ পৌঁছেছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে এক সাংবাদিক আবাসস্থলে বোমা হামলা চালানো হয়, যেখানে হিলমি আল-ফাকাওয়ি নিহত হন। হামলায় আরও সাতজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, তারা হলেন- আহমেদ মনসুর, হাসান এসলাইহ, আহমেদ আল-আগা, মোহাম্মদ ফায়েক, আবদুল্লাহ আল-আত্তার, ইহাব আল-বারদিনি এবং মাহমুদ আওয়াদ।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর এই হামলা চালায়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে, এমন তথ্য দিয়েছে আলজাজিরা।
এদিকে, গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেইর আল-বালাহ এলাকার পাঁচটি স্থানে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলে, ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে, যার ফলে আরও ফিলিস্তিনি নিহত হন, তাদের মধ্যে ওই সাংবাদিকও ছিলেন।
অন্যদিকে, বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা শহরের পূর্বে আল-নাখিল স্ট্রিটে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণে আট শিশুসহ দশজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।
গাজায় এই ভয়াবহ হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা এবং শিশুদের হত্যার বিষয়টি মানবাধিকার সংগঠনগুলির তীব্র নিন্দা কুড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :