ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

গোল্ড ফেসিয়ালের উপকারিতা-অপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
প্রতীকি ছবি: গোল্ড ফেসিয়াল

পরিপূর্ণভাবে ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়াল খুব ভালো মাধ্যম। সঠিক নিয়মে এটি করতে পারলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়। ফেসিয়াল বিভিন্ন ধরনের হয়। ফ্রুট ফেশিয়াল, গোল্ড ফেশিয়াল, হোয়াইটনিং ফেসিয়াল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । এর প্রতি অনেকের রয়েছে আকর্ষণ, আবার অনেকের মধ্য়েই আছে বিভ্রান্তি।
গোল্ড ফেসিয়াল হলো একটি বিশেষ ধরনের ফেশিয়াল ট্রিটমেন্ট, যেখানে সোনার (সাধারণত ২৪ ক্যারেট সোনার) এক্সট্র্যাক্ট বা ইনফিউশন ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। এটি অনেক বিউটি পার্লার বা স্পা-তে অফার করা হয়, বিশেষ করে যখন ত্বককে গ্লোয়িং, ইয়াংগার বা হেলদি দেখানোর প্রয়োজন হয়।

গোল্ড ফেসিয়ালের ব্যবহারসমূহ:

১. ত্বকে উজ্জ্বলতা আনার জন্য:

গোল্ড ফেসিয়াল ত্বকের গভীরে কাজ করে ডাল ও ক্লান্ত ত্বককে তরতাজা করে তোলে। বিশেষ করে কোনো অনুষ্ঠান বা ফটোসেশনের আগে অনেকে এটা করান।

২. বার্ধক্য প্রতিরোধে :
এটি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে বলিরেখা, ফাইন লাইন এবং বয়সের ছাপ কমে যায়।

৩. ত্বককে টাইট ও টোনড রাখতে:
সোনার কণাগুলো স্কিন সেলকে অ্যাক্টিভ করে, ফলে ত্বক আরও টোনড এবং ফার্ম লাগে।

৪. ত্বকের দাগ-ছোপ ও ব্রণ কমাতে:
গোল্ড ফেসিয়ালে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং পিগমেন্টেশন হালকা করতে পারে।

৫. রিল্যাক্সেশন ও স্ট্রেস রিলিফ:
গোল্ড ম্যাসাজের সময় ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে মনও রিল্যাক্স হয়ে যায়। এটা অনেকটাই থেরাপিউটিক।

কারা করতে পারেন?

সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযুক্ত হলেও, যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ তাদের আগে একটু প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো।

সাধারণত গোল্ড ফেসিয়ালে যা থাকে

১. ক্লিনজিং

২. এক্সফোলিয়েশন

৩. গোল্ড জেল/ক্রিম ম্যাসাজ

৪. গোল্ড ফেস মাস্ক

৫.টোনার ও ময়েশ্চারাইজার

গোল্ড ফেসিয়ালের উপকারিতা

১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় – গোল্ড পার্টিকেল ত্বকের মধ্যে গিয়ে গ্লো এবং উজ্জ্বলতা এনে দেয়।
২. এজিং কমায় – এটি বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩. কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ায় – ত্বককে টাইট ও ফার্ম রাখতে সাহায্য করে।
৪. ডিটক্সিফাই করে – ত্বকের ভেতরের টক্সিন দূর করে।
৫. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে – ফলে ত্বক আরও প্রাণবন্ত দেখায়।
৬. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ – ত্বকের লালচে ভাব বা সংবেদনশীলতা কমাতে পারে।

গোল্ড ফেসিয়ালের যেমন  উপকারিত আছে ঠিক তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। বিশেষ করে যদি এটা সবার ত্বকে না মানায় বা ঠিকভাবে না করা হয়।

গোল্ড ফেসিয়ালের সম্ভাব্য অপকারিতা

অ্যালার্জি বা রিঅ্যাকশন:
সব ত্বক সোনার উপাদান সহ্য করতে পারে না। কারও কারও স্কিনে র‍্যাশ, চুলকানি, বা জ্বালাভাব হতে পারে।

অ্যাকনে বেড়ে যেতে পারে:
যদি কারও ত্বক খুব অয়েলি বা অ্যাকনে প্রবণ হয়, তাহলে গোল্ড ফেসিয়ালে থাকা ভারী ক্রিম বা তেলজাতীয় উপাদান ত্বকের পোর বন্ধ করে ফেলে, ফলে ব্রণ বাড়তে পারে।

সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালাভাব:
সংবেদনশীল  স্কিন হলে গোল্ড পার্টিকেল বা ফেস প্যাক ত্বকে চুলকানি বা হালকা জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে।

বারবার ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে:
ফ্রিকোয়েন্ট এক্সফোলিয়েশন বা ম্যাসাজে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক বা পাতলা হতে পারে।

কৃত্রিম উপাদান থাকলে ক্ষতি বেশি:
অনেক কম দামের গোল্ড ফেসিয়াল কিটে আসল সোনার বদলে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এতে দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।