ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

অমিডনের উপকারিতা-অপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অমিডন একটি বহুল ব্যবহৃত ঔষধ যা মূলত বমি বমি ভাব, বমি, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এবং হজমজনিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মূলত ডোমপেরিডোন নামক একটি সক্রিয় উপাদান সমৃদ্ধ ওষুধ যা আমাদের পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

অমিডন ট্যাবলেটের কাজ কি?  

অমিডন ট্যাবলেট মূলত বমি বমি ভাব, বমি, গ্যাস্ট্রিক, হজমজনিত অসুবিধা এবং পাকস্থলীর জটিলতায় ব্যবহৃত হয়। এটি মস্তিষ্কে বমির সংকেত বন্ধ করে এবং পাকস্থলীর গতি স্বাভাবিক করে তোলে।  

অমিডন ড্রপের কাজ কি?  

অমিডন ড্রপ শিশুর বমি, দুধ হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা বা গ্যাসজনিত কারণে ব্যবহৃত হয়। এটি পাকস্থলীতে খাদ্যের গতি বাড়ায় এবং বাচ্চার অস্বস্তি কমায়।  

অমিডন ট্যাবলেট কখন খেতে হয়?  

অমিডন খাওয়ার সঠিক সময় খাবারের আগে। সাধারণত খাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট আগে এ ওষুধ খেতে বলা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ২-৩ বার এ ওষুধ নেয়া যায়।  

অমিডনের কাজ কি?  

# বমি এবং বমি বমি ভাব দূর করে  
# গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেট ব্যথা উপশম করে  
# হজমের সমস্যা কমায়  
# পাকস্থলীর ফাঁপাভাব ও অস্বস্তি হ্রাস করে  
# বাচ্চাদের মাঝে দুধ হজমে সাহায্য করে  

অমিডন কি গ্যাসের কাজ করে?  

হ্যাঁ, অমিডন গ্যাস বা হজমসংক্রান্ত সমস্যায় সহায়ক। এটি পেট ফাঁপা, অস্বস্তি এবং গ্যাস্ট্রিকের জন্য কার্যকর, কারণ এটি পাকস্থলীর খাদ্য নিচে নামানোর গতি বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে।  

বাচ্চাদের অমিডন ড্রপ খাওয়ানোর নিয়ম  

ডোজনির্ভর করে শিশুর বয়স ও ওজনের ওপর। সাধারণত:  
- ০-১ বছর বয়সে: প্রতিদিন ২-৩ বার, ০.২৫-০.৫ মি.লি. করে দেয়া যেতে পারে। 
- ১-৫ বছর বয়সে: ০.৫-১ মি.লি. করে দিনে ৩ বার 
সঠিক মাত্রার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

বাচ্চাদের অমিডন সিরাপের কাজ কি?  

অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের জন্য একটি তরল ডোজ যা একইভাবে হজমে সাহায্য করে, বমি ও বমির অনুভূতি কমায়, এবং গ্যাস বা পেটের অস্বস্তি উপশম করে। এটি শিশুদের জন্য নিরাপদ মাত্রায় তৈরি। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কোনো ওষুধই দেয়া উচিত না।  

অমিডনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?  

অমিডন একটি পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, যা মূলত বমি, বমি বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক ও হজমজনিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ডোমপেরিডন নামক সক্রিয় উপাদান দ্বারা তৈরি এবং প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু- সব বয়সের রোগীদের জন্যই নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহারযোগ্য।

তবে অন্যান্য ওষুধের মতো অমিডনও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সাধারণত অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ, দীর্ঘদিন ব্যবহার অথবা সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। তাই অমিডন ব্যবহারের আগে এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা জরুরি।

# মুখ শুকিয়ে যাওয়া  
# মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি  
# পেটের ব্যথা  
# স্তন ফোলাভাব (দীর্ঘদিন ব্যবহারে)  
# হৃদস্পন্দনের সমস্যা (বয়স্কদের ক্ষেত্রে)  

গর্ভবতী মহিলা ও হ্রদযন্ত্রজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।

বমির জন্য কোন ট্যাবলেট ভালো?  

বমির জন্য অমিডন ছাড়াও কিছু কার্যকরী ওষুধ রয়েছে। যেমন- এমসেট ও পেরিনর্ম

এই ওষুধগুলো বমি বা বমির ভাব উপশমে কার্যকর, তবে সঠিক মাত্রা ও ব্যবহারের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

অমিডন বেশি খেলে কি হয়?  

অতিরিক্ত অমিডন খেলে যা হতে পারে- 

# হৃদস্পন্দন অনিয়ম  
# অত্যধিক ঘুম বা মাথা ঝিমঝিম  
# পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি  
# শিশুর ক্ষেত্রে খিঁচুনি বা অতিরিক্ত নিস্তেজ ভাব  

অতএব, অন্য যেকোনো ওষুধের মতোই অমিডনও মাত্রা অনুযায়ী ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

অমিডন একটি কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, তবে এটি ব্যবহারে সচেতনতা জরুরি। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ডোজ ও ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।