সারা দুনিয়ার সংগীত জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম টেইলর সুইফট। ব্যবসায়িক সাফল্যের দিক থেকে সবধরনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে তার নতুন অ্যালবাম ও বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো এরাস মিউজিক ট্যুর। গান লেখা ও কম্পোজ করা, ভিডিও শুট করা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদ-গরম-ঠান্ডা-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কনসার্ট পরিবেশনা আর ট্যুর দেখে সবাই ভেবে অবাক হন তার শারীরিক সক্ষমতা ও স্ট্যামিনা দেখে। অনেকে মজা করে বলেন, তিনি পজেসড বা অতিপ্রাকৃতিক শক্তির আসর আছে তার ওপর। কিন্তু এই বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী বলেন, তিনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমেই নিজেকে এতটা ফিট রাখেন।
ওয়ার্কআউট রুটিন
প্রথমেই আসে টেইলর সুইফটের ওয়ার্কআউট রুটিনের কথা। নাচ, পিলাটিস আর স্ট্রেংথ অনুশীলনের সমন্বয়ে তিনি ব্যায়াম করেন প্রতিদিন। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু বলেন না টেইলর বা তার ট্রেনার। তবে টুকরা তথ্যগুলো জোড়া লাগিয়ে যা জানা যায়, তা হলো, দিনের শুরুতেই কয়েক মাইল দৌড়ান তিনি। এরপর জিমে গিয়ে চলে বাকি ওয়ার্কআউট। দীর্ঘাঙ্গী টেইলর তার ঊরু সুঠাম ও মেদমুক্ত রাখতে কিছু বিশেষ ব্যায়াম করেন। আর কার্ডিও ব্যায়াম সারেন তিনি ট্রেডমিলে দৌড়ে আর অ্যালিপ্টিক্যাল ট্রেনারে। ফিটনেস নিয়ে একদম ছাড় নেই টেইলরের রুটিনে। কিন্তু তিনি সুপার স্লিম ফিগারের পেছনে মোটেও ছোটেন না। ওজন কমানো বা রোগা হওয়ার জন্য নয়, সুস্থ ও ফিট থাকতেই টেইলর ব্যায়াম করেন।
ডায়েট
সালাদ, স্যান্ডউইচ আর দই তার নিয়মিত খাবারের মধ্যে পড়ে। আলাদা চিনি দেওয়া কোনো পানীয় টেইলর পান করেন না। তার ডায়েট হালকা হলেও চরম নয়। মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা করলে ফলের সালাদ খান টেইলর। প্রতিদিনের খাবারে সবজির সঙ্গে প্রোটিন হিসেবে মাছ রাখেন। টেইলর সুইফট যে পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাতে ঘেমে নিয়ে শরীরের পানি বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রচুর। তাই তিনি সারাদিন নিজেকে হাইড্রেটেড রাখেন সচেতনভাবে। পানির বোতল সব সময় তার হাতের নাগালেই থাকে। বিখ্যাত ক্যাফে চেইন স্টারবাক্সের স্কিনি ভ্যানিলা লাতে তার প্রিয় পানীয়। আর সপ্তাহ শেষে স্পাইসি পাম্পকিন লাতের জন্য মন পুড়লে তাও পান করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :