বর্তমানে মানুষও যেন মেশিন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত কাজের চাপ, দায়িত্ব, মানসিক প্রেশার- সবমিলিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া তো দূরে থাক, দম ফেলারও যেন সুযোগ নেই।
ছাত্র, প্রাপ্তবয়স্ক বা মা-বাবা হিসেবে, আমরা সামনে যা আছে তার মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে সামনে কী রয়েছে তা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বিগ্ন থাকি। স্ট্রেস আমাদের জীবনের একটি অংশ এবং এটি কখনোই পুরোপুরি দূর হবে না।
তাই পরবর্তীতে কী ঘটতে চলেছে তা নির্ধারণ করার পরিবর্তে, আসুন বর্তমানের দিকে মনোনিবেশ করি। চলুন কিছু ক্রিয়েটিভ উপায় জেনে নেওয়া যাক, যেগুলো স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে-
১. ফটোগ্রাফি
প্রতিটি শখ এবং আবেগের পেছনে ভালোবাসা এবং সত্যিকারের উদ্দেশ্য থাকে। ফটোগ্রাফি একটি কড় দক্ষতা; এটি আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা দেখাবে; এটি আপনাকে আলো এবং কভার করার গল্প তৈরি করার সুযোগ দেবে। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং আনন্দ ও সুখের প্রতি আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে।
২. জার্নালিং
জার্নালিং অনেকের ক্ষেত্রেই কাজ করে। একবার জার্নালিং শুরু করলে আপনি আপনার চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং দৃষ্টিভঙ্গি আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করবেন, যা জীবনকে সহজভাবে গ্রহণ করতে সহায়তা করবে। জার্নালিং মানে হলো প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখে রাখা।
৩. সিনেমা দেখুন
বিনোদন আপনাকে হালকা করতে এবং এই কঠোর বাস্তবতা থেকে বিরতি দিতে সাহায্য করতে পারে। সিনেমা দেখা আপনাকে কিছু সময়ের জন্য চাপ ভুলে যেতে এবং মুহূর্তটি উপভোগ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি আপনাকে গল্প, প্লট এবং চরিত্রগুলোতে সম্পূর্ণ হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি দিতে পারে।
৪. বাগান করা
এটি কারও কারও জন্য একটি থেরাপিউটিক অভিজ্ঞতা হতে পারে। যদি কেউ নিজেকে গাছপালা এবং ফুল দিয়ে ঘিরে রাখে তবে এটি তাকে সুখ এবং তৃপ্তি দিতে পারে। এটি তাকে চাপের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই ধরনের সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপ মানুষকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
৫. DIY
DIY বা ডু ইট ইওরসেলফ নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ শিল্প তৈরি করা অনেকের জন্য একটি রোমাঞ্চকর এবং থেরাপিউটিক অভিজ্ঞতা হতে পারে। আপনার ফোন কেস বা ঘর সাজানো শান্ত এবং ফলপ্রসূ হতে পারে। এটি মননশীলতা এবং ধৈর্য বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।
আপনার মতামত লিখুন :