বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি এবং দৈনিক সংগ্রামের চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী আর নেই। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, ১ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ রাত ৯টার দিকে রুহুল আমিন গাজী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ দিন যাবত তিনি কিডনী ও লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি জানান, বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নামাজে জানাযা শেষে শাহজাহানপুর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর চাদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মৌলভী কফিল উদ্দিন, মাতা আয়েশা খাতুন। সাংবাদিকদের র্শীষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র ৪র্থ বারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজে’র মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায়ে বলিষ্ট কন্ঠস্বর ওয়েজ বোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।
রুহুল আমিন গাজীর ইন্তিকালে দৈনিক সংগ্রাম পরিবারে পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রব, ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ নূরুল আমিন, দৈনিক সংগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা তার রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। তার সাথে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম। এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান রুহুল আমীন গাজীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার রাতে ব্যাংককে যাওয়ার কথা ছিল। এদিন রাত আড়াইটায় তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়া এবং বিমানে ভ্রমণের উপযোগী না হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রাতেই তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে রাখা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :