ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এইচআর ভবনে তালা ঝুলিয়ে ভোরের কাগজ সংবাদকর্মীদের অবরোধ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ এবং চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে মালিকপক্ষের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কাকরাইলের এইচআর ভবন অবরোধ করেছে ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এইচআর ভবন অবরোধ করে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীরা। এসময় ভেতরে থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এর আগে, গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীরা জানিয়েছিলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে তারা ভবনের নিচে অবস্থা করবেন।

প্রসঙ্গত, ভোরের কাগজ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে’এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে নয়শ’টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। অথচ সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এমনকি কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি।

কর্মসূচি থেকে অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সমস্ত বকেয়া বেতন-ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে বলে ১৯ জানুয়ারি ঘোষণা দেয়া হয়। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ওইদিন জানানো হয়। এরপরই গত ২০ জানুয়ারি একটি নোটিশ টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরোনো এই সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে; যা চলতি বছরের ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

পরদিন ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন দাবি মেনে নিতে মালিকপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় মালিকপক্ষের অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি কাকরাইলে কর্ণফুলী গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এইচআর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

ভোরের কাগজ কর্ণফুলী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়া ও বকেয়া পরিশোধের দাবিতে সংবাদকর্মীদের নানা কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে মালিকপক্ষকে দাবি মেনে নিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দেয়া হয়। দাবি মানা না হলে আগামী বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কাকরাইলে এইচআর ভবন অবরুদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।