ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, ডিআরইউ‍‍`র নিন্দা-প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম

ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, ডিআরইউ‍‍`র নিন্দা-প্রতিবাদ

প্রতীকি ছবি

অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পরিশোধ এবং চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে আন্দোলনরত ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কাকরাইলের এইচআর ভবনে ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।  

ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীরা জানান, গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে এইচআর ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী দাবি আদায়ে বুধবার দুপুর দুইটায় কাকরাইল মোড়ে এইচআর ভবন অবরোধ করে ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীরা। তারা এইচআর ভবনের মূল ফটকের সামনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করে নানান স্লোগান দিতে থাকে। কর্মসূচিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে আগে থেকে ভেতরে অবস্থান নেয়া সাবের হোসেন চৌধুরীর পেটোয়া সন্ত্রাসী বাহিনী (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ) লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংবাদকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে অন্তত আটজন সংবাদকর্মী আহত হন।

তারা জানান, ভোরের কাগজ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে’এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে নয়শ’ টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। অথচ সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। এমনকি কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি। অষ্টম ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সমস্ত বকেয়া বেতন-ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে বলে গত ১৯ জানুয়ারি ঘোষণা দেয়া হয়। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ওইদিন জানানো হয়। এরপরই গত ২০ জানুয়ারি একটি নোটিশ টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরোনো এই সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সাংবাদিকদের ওপর হামালার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ওই ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যায্য দাবীতে আন্দোলনরত ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবী মেনে নিয়ে ভোরের কাগজ পূর্বের ন্যায় প্রকাশের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহীনির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!