গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, যেখানে ২০টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। ১২০ দিনের কঠোর পরিশ্রমের পর কমিশন এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।
প্রতিবেদন জমা দিয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ জানান, কমিশন গণমাধ্যমের সংকট চিহ্নিত করেছে এবং এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে মালিকদের আচরণ এবং কালো টাকা।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে এবং মালিকানার কারণে গণমাধ্যমে জবাবদিহিতা নেই, যা সংকটের অন্যতম কারণ।’
উল্লেখ্য, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গত বছরের নভেম্বরে গঠন করা হয়েছিল। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী এবং বস্তুনিষ্ঠ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি এবং আরও অনেকে রয়েছেন।
সরকার গত নভেম্বরে গণমাধ্যমসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল এবং এই কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ মার্চ নির্ধারিত রয়েছে। এর আগে গঠিত অন্যান্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। যেমন—সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।