আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)’ সংবাদপত্রে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করলেও তা পরিবর্তন না করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)।
বুধবার (২৬ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ নোয়াবের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং ঈদ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল, ইআরএফ-এর সভাপতি দৌলত আখতার মালা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম এবং ডিএসইসির সভাপতি মোক্তাদির অনীক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান।
তারা বলেন, ‘নোয়াব এখনও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় এবং সাংবাদিকদের দাবি আমলে না নেওয়ায় আমরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি।’
নোয়াবের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল হলে, ২ এপ্রিলও সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবার দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে মার্চের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহজুড়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ছুটি থাকছে। অথচ সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের মাত্র তিন দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে, যা চরম অবিচার ও অমানবিক।’
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘জাতি যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন নোয়াব গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি নতুন এক বৈষম্যমূলক আচরণ করছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। আমরা নোয়াবের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঈদ ছুটি বাড়ানোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।’