ঢাকা: সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তার সহকর্মীরাসহ নানা পেশার ব্যাক্তিরা। বূধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে তার কফিন আসার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও তার জানাজায় অংশ নেন সহস্রাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে মারা যান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, উচ্চ ডায়াবেটিক, ব্যাক পেইন, লবণ ঘাটতিসসহ বিভিন্ন রোগে ভোগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রয়াত সাংবাদিকের কফিন চাঁদপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শ্রদ্ধানিবেদনের আগে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
জানাজায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এজেডএম জাহিদ হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, মজিবুর রহমান, শামসুল ইসাম, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, মোবারক হোসেইন, আবদুর রব, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, সাইফুল আলম, এমএ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার, আবদুল জলিল ভুঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই সিদ্দিকী, এম আবদুল্লাহ, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বাকের হোসাইন,নুরুউদ্দিন নুরু, ইলিয়াস খান, কেএম মহসিন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ইলিয়াস হোসেন, কাজী রওনুকুল হোসেন, শাহেদ চৌধুরী, সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, মুরসালিন নোমানী, শামসুদ্দিন দিদার, রাশেদুল হক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন দুই অংশের ওমর ফারুক, ওবায়দুর রহমান শাহিন, বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের হাসান হাফিজ, আইয়ুব ভুঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মহিউদ্দিন আহমেদ প্র্রমূখ নেতারা জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার আগে প্রয়াত সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপির এজেডএম জাহিদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের হাসান হাফিজ, আইয়ুব ভুঁইয়া, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার।
১৯৫৩ সালে ২২ এপ্রিল রুহুল আমিন গাজীর জন্ম চাঁদপুরের গুবিন্দিয়া গ্রামে। শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ১৯৭৪ সালে রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। ইত্তেফাক ছেড়ে যোগ দেন দৈনিক সংগ্রামে… বিশেষ প্রতিনিধি, চিফ রিপোর্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিক-সংবাদ কর্মীদের রুটি-রুজির আন্দোলনে রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সবসময় সোচ্চার। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
শেখ হাসিনার সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই সাংবাদিক নেতাকে কারাবন্দি করে রাখে টানা ১৮ মাসের অধিক সময়। কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জামিন দেয়নি সরকার। বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন রুহুল আমিন গাজী।
আপনার মতামত লিখুন :