দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেষ্ঠ্য সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক এ সভাপতি সদ্য বিদায়ী সম্পাদক মোস্তফা মামুনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় দেশ রূপান্তর পত্রিকার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল, রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ (অব.), এ এস এম সাইখুল ইসলাম, প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল, সদ্য বিদায়ী সম্পাদক মোস্তফা মামুন, রূপায়ণ গ্রুপের হেড অব মিডিয়া হাবিবুর রহমান পলাশসহ অন্যান্য বিভাগের সাংবাদিক ও কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশ রূপান্তর প্রকাশক ও রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল বলেন, আমরা সুন্দর সম্পর্কের মাধ্যমে দেশ রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। ছোট ছোট সহানুভূতি অনেক পরিস্থিতি বদলে দেয়। সবাই সহানুভূতি নিয়ে এক হয়ে কাজ করে দেশ রূপান্তর আরও এগিয়ে যাবে। নতুন বছরে এই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ (অব.) বলেন, দেশ রূপান্তর অর্গানাইজ ওয়েতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই চলবে। আপনারা সবাই সেভাবেই কাজ করবেন। এখানে কোন পরিবর্তন হবে না।
সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, আমার পেশাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ। কারণ, সাংবাদিকতা জীবনে সম্পাদক হিসেবে আমার যাত্রা শুরু হচ্ছে। এই দিনে সাংবাদিক হিসেবে আমি প্রয়াত অমিত হাবিবকে স্মরণ করছি। যিনি এই পত্রিকাকে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে শক্ত ভিত দিয়ে গেছেন। সদ্য বিদায়ী সম্পাদক মোস্তফা মামুন দীর্ঘ সময় ধরে পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমরা সবাই মিলে দেশ রূপান্তর পত্রিকাকে আর এগিয়ে নিয়ে যাবো।
ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন কামাল উদ্দিন সবুজের। তার পৈত্রিক নিবাস ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার বাঁশপাড়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। মাতা মরহুমা জেবুন্নাহার ও পিতা মরহুম সুলতান আহমেদ মজুমদারের বড় সন্তান তিনি। কামাল উদ্দিন সবুজ ১৯৮৫ সালে ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি নিউজে রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেখানে তিন বছর কাজ করার পর ১৯৮৮ সালে তিনি দেশের প্রথম ইংরেজি নিউজ এজেন্সি ইউএনবিতে যোগ দেন। সেখানে প্রায় সাড়ে ৩ বছর কাজ করার পর ১৯৯১ সালে তিনি বাসসে (বাংলাদেশ সংবাস সংস্থা) কাজ শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক ছিলেন। কামাল উদ্দিন সবুজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :