২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে কেড়ে নেয়ার দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও দৈনিক যায়যায়দিনে ফিরলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। দীর্ঘদিন পর ফেরায় প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে লাল গোলাপ দিয়ে বরণ করে নেন।
জানা গেছে, শফিক রেহমানের সম্পাদিত যায়যায়দিন ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। প্রধানত এ কারণে তৎকালীন সেনাপ্রধানের চাপে যায়যায়দিন পত্রিকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের এপ্রিলে তাকে সম্পাদক পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। এছাড়াও এর আগে আশির দশকে এরশাদের জমানায় শফিক রেহমানকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ছেড়ে লন্ডনে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
শফিক রেহমান ওয়ান-ইলেভেনের সময় সেনাপ্রধানের ‘আলুপ্রীতি’ এবং ‘ক্ষমতা দখলের অভিলাষ’ সম্পর্কে তার পত্রিকায় ‘নেড়িকুকুরের কাণ্ড’ শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে কলামে সমালোচনা এবং মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন। এ কলামে তিনি লিখেছিলেন দুই নেত্রী মাইনাস থেকে প্লাস হবেন এবং তিন উদ্দিনই (মইনউদ্দিন, ফখরুদ্দিন, ইয়াজউদ্দিন) মাইনাস হয়ে যাবেন।
শফিক রেহমানের যায়যায়দিন ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ২০০৮ সালের আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল।
পরে ২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর প্রায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। আর মুক্তি পেয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী তালেয়া রেহমানের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি লন্ডনে যান।
শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় শফিক রেহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় শফিক রেহমানকে এই মামলার দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্থায়ী জামিন দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :