বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০১:১৯ এএম

বাল্যবিয়েতে এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০১:১৯ এএম

বাল্যবিয়েতে এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক তালিকায় রয়েছে অষ্টম স্থানে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত ‘গার্লস গোলস : হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী,  বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সি নারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশেরই বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগে। এর ফলে কন্যাশিশু তথা মেয়েদের স্থায়ী দারিদ্র্যের চক্রে আটকে যেতে দেখা যায়, তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়, তাদের সম্ভাবনার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ঝুঁকিতে থাকায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে বাল্যবিয়ে ও অল্প বয়সে সন্তানধারণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর নারীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ নারী ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। 

তা ছাড়া বাংলাদেশে ১৫-১৯ বছর বয়সি কিশোরী মেয়েদের ২৮ শতাংশ বিগত ১২ মাসের মধ্যে তাদের সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। আর ১৫-১৯ বছর বয়সি বিবাহিত কিশোরী মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৪৭ শতাংশ জেনে-বুঝে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১৯৯৯ বেইজিং ঘোষণায় যেসব অঙ্গীকার করা হয়েছিল, ৩০ বছর পরে এসে সেসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দেশগুলো কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে, তার পর্যালোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল এসেছে, মেয়েদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উন্নতি হয়েছে। 

এখন কন্যাশিশুরা আগের তুলনায় তেমন একটা বাল্যবিবাহের শিকার হয় না, কিন্তু বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশ এখনো এ ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশের বেশি কন্যাশিশু এই ক্ষতিকর চর্চার শিকার হচ্ছে, বাল্যবিয়ের এই হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশে কিশোরী কন্যাশিশুদের মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পন্ন করার হার ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতিবেদনে কিশোরী মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ২০৩০ এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে সরকার ও সব অংশীজনের উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বে যে সাতটি দেশে কিশোরী ও তরুণ নারীদের ডিজিটাল দক্ষতার হার ২ শতাংশ বা তার চেয়ে কম সে সব দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন,  কিশোরী মেয়েরা একটি অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চায়, যেখানে তারা নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং দেশের উন্নতিতে সহযোগিতা করতে পারবে। তা সত্ত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্য তাদের আটকে রাখছে এবং তাদের দেশও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

সরকারের প্রতি কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, সমাজকর্মী বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত জনবল আরও শক্তিশালী করা, শিক্ষা ও পুষ্টিতে বিনিয়োগ করা এবং সব মেয়েদের জন্য জীবন দক্ষতা অর্জন ও ডিজিটাল শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং বলেন, বেইজিং ঘোষণার ৩০ বছর পূর্তি স্মরণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নারী ও কন্যাশিশুদের অধিকার নিশ্চিতকরণে অগ্রগতিও উদযাপন করছি। তবে এই অগ্রগতি অর্জনের ধারা যে ধীরগতিসম্পন্ন, অমজবুত ও অস্থিতিশীল তা-ও স্বীকার করে নিচ্ছি। 

বাংলাদেশে এখনো অনেক কন্যাশিশু স্কুলে যায় না, তারা ক্ষতিকর চর্চা ও সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের সম্ভাবনার বিকাশের জন্য ‘অল-হ্যান্ডস-অন-ডেক’ অ্যাপ্রোচ অর্থাৎ এখন থেকেই সবাই মিলে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসা আবশ্যক।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, এটা দেখে আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশ কিশোরী মেয়েদের সন্তান জন্মদানের হার কমানো, সন্তান জন্মের সময় দক্ষ সেবাদাত্রীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং মেয়ে ও তরুণ নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের প্রচেষ্টা নিয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি ও তাদের এসব পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে উন্নতিও দৃশ্যমান। তবে ডিজিটাল দক্ষতার ক্ষেত্রে কন্যাশিশু ও তরুণ নারীরা উদ্বেগজনকভাবে পিছিয়ে রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!