রূপপুর প্রকল্পের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ কিস্তি বিলম্বে বাংলাদেশকে ১৬৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার। তবে দেশটি এ জরিমানা মাফ করেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, মস্কো থেকে পাঠানো সংশোধিত প্রোটোকলের খসড়া অনুযায়ী, ২০১৩ সালের সম্ভাব্যতা যাচাই ঋণ ও ২০১৬ সালের মূল প্রকল্প ঋণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সংশোধন করা হয়েছে। এতে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর পাশাপাশি শুরু করার সময়ও ১.৫ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত প্রোটোকলে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি এখন রুশ রুবলসহ পারস্পরিক সম্মত যেকোনো মুদ্রায় ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশের জন্য বকেয়া নিষ্পত্তিতে নমনীয়তা সৃষ্টি হবে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, অর্থপ্রদানে বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। রোসাটমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে তা স্থানান্তর সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার পাঠানো সংশোধিত প্রস্তাবে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশকে ২০ বছরের মধ্যে ৪০টি সমান কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বছরে দুইবার—১৫ মার্চ ও ১৫ সেপ্টেম্বর। অব্যবহৃত ঋণের পরিমাণের ওপর বাংলাদেশকে ০.৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে, যার সর্বোচ্চ পরিমাণ বার্ষিক ০.২৫ মিলিয়ন ডলার।
প্রকল্পের অগ্রগতিতে বিলম্বের কারণে ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হবে। এর ফলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট ৩.৬৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করা হবে।
মূলত ২০২৭ সালের মার্চ থেকে ঋণ পরিশোধ শুরুর কথা থাকলেও সংশোধিত প্রোটোকলে তা পিছিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো কিস্তি ৩০ দিনের বেশি সময় বকেয়া থাকলে তা বিলম্বিত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার ওপর বার্ষিক ১৫০ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হবে।
২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুইটি প্রোটোকলে স্বাক্ষর করেছে, যা সংশোধনের পর চূড়ান্তভাবে নতুনভাবে সই হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :