আজ ৯ মার্চ শনিবার সকাল থেকে খুলেছে পোস্তগোলা সেতু। টানা ১৬ দিন সংস্কার কাজ শেষে সেতুটি খুলে দেয়া হয়েছে। মেরামত চলাকালীন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের রাজধানীতে অন্যতম প্রবেশদ্বার খ্যাত এই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। সংস্কার চলে ৮ মার্চ পর্যন্ত। ৯ মার্চ থেকে এই সেতু দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।
কার্যক্ষমতা বাড়াতে পোস্তগোলা সেতু সংস্কার কাজ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ফলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহাকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প সেতু অর্থাৎ বাবু বাজার সেতু দিয়ে চলাচল করতে বলা হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবুজ উদ্দিন খান গণমাধ্যমে জানান, শনিবার থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শনিবার ভোর ৬টা থেকে সেতুতে চলবে সব ধরনের যানবাহন। মাইক্রো কংক্রিট দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে পোস্তগোলা সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত দুটি গার্ডার। এর ফলে আয়ুস্কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর সেতুর সংস্কার কাজে হাত দিতে হবে না।
সড়ক ও জনপথ বলছে, এই মেরামতের কারণে ফের আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে এই সেতু। সংস্কারে খরচ হয়েছে অন্তত ২ কোটি টাকা।
২০২০ সালের জুনে বুড়িগঙ্গার সদরঘাটে ডুবে যায় লঞ্চ মর্নিং বার্ড। পোস্তগোলা সেতুর নিচ দিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যাওয়ার সময় ধাক্কা দেয়। এতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর গার্ডার। এরপর দফায় দফায় করা হয় সংস্কার।
এর আগে এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, পোস্তগোলা সেতুর রুটিন সংস্কারের অংশ হিসেবে রেট্রোফিটিং ও দুটি গার্ডার মেরামত শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। সংস্কার কাজের জন্য পোস্তগোলা ব্রিজ বন্ধ থাকতে পারে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
মেরামত চলাকালীন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
পোস্তগোলা সেতু দিয়ে হালকা যানবাহন (বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা) কে ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত- ১৬ দিন ভারি যানবাহন (ট্রাক, পিক-আপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান, কনটেইনার) চলতে দেওয়া হয়নি।