‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ।
শোভাযাত্রায় কেউ হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কেউবা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা পোস্টার ও ব্যানার বহন করছেন। এছাড়া, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় তৈরি করা হয়েছে একটি বৃহৎ তরমুজের ফালির মোটিফ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। ফলটির বাইরের সবুজ ও ভেতরের লাল, সাদা, কালো রং ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে মিলে যায়-এ কারণে এটি তাদের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই এবারের শোভাযাত্রায় অন্যান্য মোটিফের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফ রাখা হয়েছে।
শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি এবং ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিফ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। এর পাশাপাশি দেখা গেছে পায়রা, মাছ, বাঘ ও আলোচিত ‘মুগ্ধর পানির বোতল’-এর প্রতীকী উপস্থাপনাও।
ঐতিহ্যের ধারায় সুর, কাব্য আর কথামালায় নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোরের আলো ফুটতেই ছায়ানটের আনুষ্ঠানিকতায় রমনা বটমূলে সুর-লহরীতে বরণ করা হয় নতুন সূর্য।
এবারের মূল বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। অতীতের অশুভকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে সবার চাওয়া-বিভেদ-অশান্তি ঘুচে দৃঢ় হোক সম্প্রীতির বন্ধন। এ আয়োজনের প্রকাশ পায় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার বার্তাও।
আপনার মতামত লিখুন :