ঢাকার বাতাসের মানে সামান্য উন্নতি দেখা গেছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার একিউআই ছিল ১০২, যা সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। তবে গতকাল একই সময়ে এই মান ছিল ১২৬। ফলে ঢাকার অবস্থান এখন দূষিত শহরের তালিকায় ১১তম, আগের দিনের চেয়ে উন্নত।
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি (একিউআই ১৯৬)। এরপর রয়েছে কাঠমান্ডু (১৯০), দুবাই (১৬৪), কায়রো (১৬০) এবং চিয়াং মাই (১৫৩)।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ- এয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দূষণের প্রধান উৎস হল বাতাসে থাকা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা। এসব কণা ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসারে, একিউআই ৫০- এর নিচে হলে বাতাস বিশুদ্ধ, ৫১-১০০ সহনীয়, ১০১-১৫০ সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য ক্ষতিকর ধরা হয়।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপন্ন বায়ুদূষণে প্রতিবছর বিশ্বে ৫২ লাখ মানুষ মারা যায়। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গৃহস্থালি ও পরিবেশগত দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে প্রায় ৬৭ লাখ।
দীর্ঘমেয়াদে দূষিত বাতাসের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে।
এ ছাড়া দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইটভাটা ও কারখানা মালিক, নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেমন: বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা, পরিবহনের সময় সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং ধোঁয়াযুক্ত পুরোনো যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা।
আপনার মতামত লিখুন :