ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট চায় পুলিশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
বাংলাদেশ পুলিশের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

নতুন এক আবহে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার থাকছে একাধিক নতুন উদ্যোগ, পাশাপাশি বাদ পড়েছে আগের কিছু প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতা। সরকারকে জানানো দাবির ক্ষেত্রেও এসেছে ভিন্নতা। এবারের আয়োজনে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হবে।

আগামী ২৯ এপ্রিল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটরিয়ামে শুরু হবে তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান। এটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রথম পুলিশ সপ্তাহ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির সূচনা করবেন। উদ্বোধনের পর বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে এবং তিনি পুলিশ ও রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করবেন।

চূড়ান্ত ছয় দাবি:

১. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, যার আওতায় থাকবে জনসাধারণের জন্য ‘কমপ্লেইন সেল’ এবং পুলিশ সদস্যদের জন্য ‘অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি’।

২. এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা প্রদান।

৩. স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠন।

৪. পুলিশের বিভাগীয় হাসপাতালসমূহে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ, সেই সঙ্গে একটি পুলিশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা।

৫. একই পদে দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে অবসরে যাওয়া সদস্যদের জন্য সুপারনিউমারারি পদোন্নতি (কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত)।

৬. মৃতদেহ দাফন/সৎকারে সহযোগিতার জন্য পুলিশের জন্য নির্দিষ্ট আর্থিক বরাদ্দ।

পূর্বের বছরগুলোতে পুলিশ সদস্যরা সরকারের কাছে একাধিক দাবি তুলে ধরতেন, তবে সেসব দাবির বাস্তবায়নে সরকারের উদাসীনতা পুলিশের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছিল। এবার সেই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র ছয়টি সুস্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ দাবি উপস্থাপন করা হবে, যাতে সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা থাকে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, প্রথমে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মোট ১২টি দাবি জানানো হয়েছিল। পরে একাধিক বৈঠকের পর আলোচনার মাধ্যমে ছয়টি দাবি চূড়ান্ত করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর আশা করছে, দাবি সংক্রান্ত বিষয়গুলো যৌক্তিক বিবেচনায় নিলে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে। এবারের পুলিশ সপ্তাহ তাই শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এক বাস্তবমুখী দাবির প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।