বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ রেড জোনের ব্যাংক থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে ২৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সমালোচিত হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, বিপিএল আয়োজনে পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিক্রি নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ এবং দলের বাজে পারফরম্যান্স সবকিছু নিয়েই সমালোচনায় আছেন ফারুক। তবে এবার ১৪টি ব্যাংকে মোট ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
তবে গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ এর আগস্ট থেকে বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডেরই লাভ হবে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায়।
প্রথম ধাপে, আইএফআইসি আর মিডল্যান্ডের মতো হলুদ তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মধুমতি ব্যাংক হিসাবে। তবে ঐ দুই ব্যাংকের চেয়ে মধুমতি ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্টের হার বেশি। তাই আয় বাড়বে বিসিবির।
দ্বিতীয় ধাপে একই ইন্টারেস্ট হারে নেওয়া হয়েছে আরও ১০ কোটি। এরপর যথাক্রমে আরও বেশ কয়েক ধাপে, কখনো হলুদ, কিংবা কখনো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে নতুন ১৪ ব্যাংকে নেওয়া হয়েছে মোট ২৫০ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি ২৩৮ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে, বোর্ড পরিচালকদের অনুমতি ছাড়া একাই টাকা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ফারুক। তবে বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ও আরও একজন প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালক পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।