ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

সিনহা হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুন ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মামলায় অভিযুক্ত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও, বিচারিক কার্যক্রম বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

এমনকি বিচার সংশ্লিষ্টদের ওপর টাইম বোমা হামলার চেষ্টার মতো ভয়াবহ অভিযোগও করেছে তারা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে সংগঠনটি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রায় ঘোষণার সাত কার্যদিবসের মধ্যেই তা কার্যকর করতে হবে, অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে। একইসঙ্গে আছিয়া, পারভেজ ও তোফাজ্জলসহ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিও জানায় সংগঠনটি।

এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, প্রদীপ কুমারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলেই বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে। পাশাপাশি তারা স্পষ্ট করে দেয়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ছাড়া, সংগঠনটি শিশু আছিয়া, পারভেজ ও তোফাজ্জলসহ জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে। তারা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে-কোনো চাপ, প্রলোভন কিংবা রাজনৈতিক প্রভাব যেন ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে।

এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফ (অব.) বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মতো নৃশংস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারলেই বিচার বিভাগ ও সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। একইসঙ্গে তা পলাতক অপরাধীদের বিচারের পথ আরও সুগম করবে।

মেজর সিনহা হত্যা মামলা বাংলাদেশের আইন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় ও তার কার্যকরের দিকে এখন সারা দেশের নজর।