ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের (কেডিজেএফ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলানিউজের নির্বাহী সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন শীর্ষ নিউজের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক নাসির আহমাদ রাসেল।
যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান সুমন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন কমিটির সবাই নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ দিদার বখত আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় কমিশনের অন্য দুই সদস্য আমিরুল ইসলাম কাগজী ও সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সমিতির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ রিজভী নেওয়াজ দ্বিবার্ষিক রিপোর্ট পাশ করেন।
সভা শেষে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমাদ রাসেলের নেতৃত্বাধীন কমিটির কাছে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
নবনির্বাচিত কমিটির অন্যরা হলেন, সহসভাপতি দৈনিক নয়াদিগন্তের খালিদ সাইফুল্লাহ, সহসভাপতি বিজনেস স্টারের আল মামুন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও বাংলানিউজের তানভীর আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ দৈনিক নিরপেক্ষ’র রহমান আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক এখন টিভির হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক জনতার আব্দুল হালিম, কল্যাণ সম্পাদক দেশ বর্তমানের মো. আক্তারুজ্জামান (গাজী আক্তার), প্রচার সম্পাদক দৈনিক কালের কণ্ঠের মুত্তাকিনুর রহমান (মাসফি), ক্রীড়া সম্পাদক দৈনিক কালবেলার মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মুজাহিদ), সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাংলাভিশনের মিলন মাহমুদ রবি।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ দিদার বখত বলেন, আমরা খুলনা বিভাগ অন্যান্য বিভাগের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি। সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় খুলনা থেকে, অথচ সবচেয়ে কম ব্যয় হয় খুলনাতে। তাই খুলনার উন্নয়নে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাহলে আমরা সবচেয়ে বেশি ডেভেলপমেন্ট হতে পারব।
সাধারণ সভায় কেডিজেএফের বিদায়ী সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করে গিয়েছি। আমরা ভেদাভেদ না করে সবাই এক হয়ে এগিয়ে যাই, সবার প্রতি এই অনুরোধ থাকবে।
দুই বছরের কার্যক্রম তুলে ধরে বিদায়ী সেক্রেটারি রিজভী নেওয়াজ বলেন, আমরা গত দুই বছরে একটি পিকনিকসহ কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছি। আমরা সংগঠনের একটি ওয়েবসাইট করেছি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখনো অফিস নিতে পারিনি। আশা করি, নতুন কমিটি আমাদের রেখে যাওয়া কাজ শেষ করবে।
খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিকদের একত্রিত করতে হবে। আমাদের উদ্যমী হতে হবে। কাউকে দোষারোপ না করে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
এজিএমে খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরা সংগঠনকে এগিয়ে নিতে নতুন কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামকে শক্তিশালী করতে জেলাগুলোর কমিটিকেও শক্তিশালী করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :