পিএসসি (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) কে দুটি ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং অনিয়মের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ সভায় গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পিএসসি নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দুটি পিএসসি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
দীর্ঘসূত্রতা, অনিয়ম এসব বিষয়ে আলোচনার পর সরকার দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই যারা দায়িত্বে আছেন তাদের কাছে ছাত্রদের দাবিগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গত সোমবার আন্দোলনকারীদের একটা টিমের সঙ্গে বসার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে সেটা হয়ে ওঠেনি। তবে ছাত্রদের দাবিগুলো আমার পক্ষ থেকে কনসার্ন অথরিটিকে বারবার পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেকারত্ব নিরসনে এখন পর্যন্ত একক মন্ত্রণালয় হিসেবে পুলিশের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় থেকে সর্বোচ্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গেছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। সামনের কয়েক মাসে আরো অন্তত ১০ হাজার নিয়োগ হবে। পিএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অথবা ডিক্টেট করার অথরিটি আমার নেই। আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব করছি, সামনেও করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘যত কাজই থাকুক না কেন ছাত্রদের বিষয়গুলো সব সময়ই আমার জন্য প্রথম প্রায়োরিটি থাকে। কুয়েটেও আন্দোলন চরম পর্যায়ে আসার প্রায় ১০ দিন আগেই কুয়েটের একটা প্রতিনিধিদল বাসায় এসেছিল। তাদের দাবি, স্মারকলিপি পরদিনই শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। নিয়মিত আপডেট রেখেছি, দাবি মেনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেছি। ফেসবুকে না বললেই যে কাজ হচ্ছে না এটা ধরে নেওয়া উচিত না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘টিএসসিতে আন্দোলনরত প্রায় অনেকেই আমার পরিচিত। রাত ৪-৫টায় সেখানে যাওয়া কতটা সোভন হবে তা ভেবে যাইনি। এ ছাড়া শহীদ জসিম ভাইয়ের মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে গিয়েছিলাম পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। ভোর ৫টায় তেমন কাউকে না পেয়ে ফেরত এসেছি। তবে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জামিনের খবরটি সঠিক নয়। এই কালপ্রিটদের সিআইডিতে রাখা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। ’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অফিস শেষেই রাজুতে অনশনরত ভাইদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। এটা মনে রাখতে হবে যে পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দাবিগুলো ইতিমধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে আবারও এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’