সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আমরা চাই অপরাধীরা ধরা পড়ুক এবং অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি হোক।’
তিনি সুশাসন এবং মানুষের মৌলিক মানবিক চাহিদার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘উন্নত, সমৃদ্ধ এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনে মহিলাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।’
শারমিন এস মুরশিদ আরও জানান, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব ডিএনএ দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর 'ডিএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার: নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে, যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ।’
উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ রোববার, সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব ডিএনএ দিবস ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সিনিয়র সচিবের রুটিন দায়িত্বে) জাকিয়া খানম, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের, এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান শিরীন পারভীন হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এ.এইচ.এম. নুরুন্নবী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা বক্তৃতা করেন।
শারমিন এস মুরশিদ আরো বলেন, ‘১৯৮৬ সালে অপরাধবিজ্ঞানে ডিএনএ প্রযুক্তি বা ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং একটি যুগান্তকারী সংযোজন ছিল, যা বিচার ব্যবস্থাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে গেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৬ সালে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি’ (এনএফডিপিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে এবং এটি দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করছে। পাশাপাশি, পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ণয়ে, মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তকরণ, এবং শিশু ও নারী পাচার রোধে ডিএনএ প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।’
শারমিন এস মুরশিদ শেষমেশ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ তার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং অসামান্য সাফল্য দিয়ে বিশ্বমঞ্চে স্থান করে নেবে।’