রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ অঙ্গ সংগঠনের আরও সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম (৬৯), তুরাগ থানার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৯), বংশাল থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার (৪৮), তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম (৪০), যুবলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা (৫৪), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সম্প্রতি যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার (৩০) এবং তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম (৪৭)।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম।
অন্যদিকে, ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বংশাল থানাধীন ইংলিশ রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকেল তিনটার ১৫ মিনিটে দিকে মো. শাহেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়া দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে মো. ওয়ারেজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম রাজধানীর গোপীবাগ এলাকা থেকে সকাল সাতটার দিকে শহীদুল হক চৌধুরী রানাকে এবং ডিবি-উত্তরা বিভাগের একটি টিম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কামারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করে।
এ ছাড়া ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদুল ইসলাম তুষারকে গ্রেপ্তার করে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে বারোটার দিকে ডিবি সাইবার টিম উত্তরা পূর্ব থানার ১৮ নম্বর সেক্টর হতে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। গ্রেপ্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
