ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

বজ্রপাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেন

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
প্রতীকী ছবি

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ফসলি জমি থেকে শুরু করে গরু-ছাগল আহতসহ অনেক গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তাই বজ্রপাতের সময় নিজেকে বাঁচানোর বিষয়ে সবারই সচেতন থাকা উচিত। মৃত্যু ছাড়াও বাজ পড়ার পর একজন ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক, উভয়ভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

প্রতি বছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বজ্রপাতের সময় কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, সে বিষয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ১৮টি উপায় বলে দিয়েছে।

আসুন, জেনে নিই সেগুলো:-

১) এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রবৃষ্টি বেশি হয়; বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময় ঘরে অবস্থান করুন।

২) ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে ঘর থেকে বাইরে যাবেন না; অতি জরুরি প্রয়োজন হলে রবারের জুতা পড়ে বাইরে বের হতে পারেন।

৩) বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।

৪) বজ্রপাতের সময় ধানখেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।

৫) যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৬) উঁচু গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

৭) কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।

৮) বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না; সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

৯) বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।

১০) বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।

১১) বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন। 

১২) বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।

১৩) বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না। তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

১৪) বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

১৫) প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্রনিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

১৬) খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।

১৭) কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।

১৮) বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।