দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ‘বিড়ালে’ পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। সীমান্তে পিঠের পরিবর্তে বুক দেখাতে শুরু করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এবার সীমান্তে এক বাংলাদেশি কৃষককে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির কাছে ধরা পড়ে বিএসএফ সদস্যরা। পরে বিজিবি সদস্যদের পায়ে ধরে আকুতি-মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন দুই বিএসএফ সদস্য। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। মন্তব্যের ঘরে পিন পোস্টে তিনি বলেন, ‘অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, ঘটনাটি ও ফুটেজটি বিজিবি কর্তৃপক্ষ যাচাই করেছে’।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, অতি সম্প্রতি দুজন ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সদস্য নিজ অস্ত্রসহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প থেকে বিজিবি সদস্যরা দ্রুততার সাথে ছুটে আসেন।
জুলকারনাইন সায়ের আরও লেখেন, সাধারণ জনতা ও বিজিবি সদস্যরা এভাবেই অস্ত্রসহ ধরে ফেলে দুজন বিএসএফ জাওয়ানকে। পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাবাশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশি কৃষককে মারধর করেছিল বিএসএফ। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নাগরিকদের মারধরের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।
গত ২৪ জানুয়ারি দিনাজপুর বিরলের এনায়েতপুর বিওপি ক্যাম্পের ৩২৩ নম্বর পিলারের দ্বীপ নগর সীমান্ত থেকে জমিতে কাজ করা অবস্থায় কৃষককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর কৃষক মোহাম্মদ আল আমিনকে (৩৮) ফেরত এনেছে বিজিবি।