গায়েবি মামলা দিলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ

পুলিশ সংস্কার কমিশন ভুয়া বা গায়েবি মামলায় অনিবাসী, মৃত বা নিরপরাধ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়েরের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়।

কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, যদি কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তা অনিবাসী, মৃত বা নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন, তবে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দেওয়ার প্রক্রিয়া পরিহার করারও সুপারিশ করা হয়। কমিশন আরও সতর্ক করেছে, কোনো পুলিশ সদস্য যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাউকে হয়রানি করার জন্য এ ধরনের মামলায় জড়ান, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ ছাড়া, বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে কাউকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, কমিশন আরও সুপারিশ করেছে যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে অভিযানে অংশগ্রহণের সময় জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসহ সুরক্ষা পোশাক পরিধান করতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যে) গৃহ তল্লাশি করতে হলে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া, থানায় মামলা রুজু (এফআইআর) গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষেত্রে সার্কেল অফিসার বা পুলিশ সুপারকে নিয়মিত তদারকি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কোনো এফআইআর বহির্ভূত আসামি গ্রেপ্তার করার আগে অবশ্যই আদালতের আদেশ নিতে হবে।