এনজিও ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ এজাজকে এক বছরের জন্য ডিএনসিসির পূর্ণকালীন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখা। তিনি মো. মাহমুদুল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকা বৈষম্যের শহর। সবাইকে নিয়ে এই বৈষম্য দূর করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।
এদিকে ৪০ দিন ধরে ডিএসসিসি প্রশাসকশূন্য। গত ৬ জানুয়ারি প্রশাসক নজরুল ইসলাম পদোন্নতি পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে চলে গেলে পদটি শূন্য হয়। এরপর আর কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। ফলে অভিভাবকহীন ডিএসসিসির প্রশাসনিক কাজকর্মে চরম অচলাবস্থা তৈরি হয়।
উন্নয়নকাজ থেকে শুরু করে নাগরিক সেবা-সব কিছু থমকে যায়। এর মধ্যেই অধস্তন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতা প্রকট হয়ে ওঠে। চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়া রীতিমতো আর্থিক কেলেঙ্কারিতে তড়িঘড়ি পরিশোধও করে দেন। অথচ বিধি অনুযায়ী তার আর্থিক ক্ষমতা হলো মাত্র ৪৯ হাজার টাকা। এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
রূপালী বাংলাদেশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তিন দিনের মাথায় তাকে সরিয়ে দিয়ে ড. মো. জিল্লুর রহমানকে সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রশাসকবিহীন ডিএসসিসির হালফিল অবস্থা তুলে ধরে গত ২২ জানুয়ারি তারিখে ‘মুখ থুবড়ে পড়েছে নাগরিক সেবা’ শিরোনামে এবং ‘ডিএসসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ ৭ পদ খালি’ উপ-শিরোনামে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :