পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৬ বছর আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের সময় তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং মোট ৭৪ জন নিহত হন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি এক বিভীষিকাময় এবং শোকাবহ দিন। আজকের দিনটি প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক পরিপত্রে সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, তাদের মৃতদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয় এবং পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রথম বড় আঘাত হিসেবে মূল্যায়ন করেন। অন্তর্বর্তী সরকারেরও মূল্যায়ন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও বাংলাদেশ একসাথে এত সেনা কর্মকর্তাকে হারায়নি।
এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, বরং পুরো জাতির জন্য শোকাবহ এবং হৃদয়বিদারক। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :