শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির ঘটনার গণপিটুনিতে দুইজন ডাকাত নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকা থেকে ডাকাতদের আটক করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের গতিপথ রোধ করে বাল্কহেড দিয়ে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হয় বেশ কয়েকজন।
পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক শেষে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ছাড়াও ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ডাকাতের ছোড়া গুলিতে চারজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত অবস্থায় ৭ ডাকাতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গিয়েছেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টাকালে ৭ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হবে।
আপনার মতামত লিখুন :