নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি তাদের জেলার নামে একটি নতুন বিভাগ গঠন করার। নতুন বিভাগ গঠন ও নাম নিয়ে নোয়াখালী ও কুমিল্লার মানুষের মধ্যে এক ধরণের যুদ্ধ চলমান আছেন। তবে এখনও এই যুদ্ধের শেষ হয়নি। দুইটি জেলাই চট্রগ্রাম বিভাগের অধীনেই রয়েছে।
তবে নোয়াখালীকে বিভাগ করার উদ্যোগ গ্রহণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। পরে তিনি উচ্চ আদালতে মামলাও করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আইনজীবীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিষয়টি মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইনজীবী মনির নিজেরই নিশ্চিত করেছেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘নতুন বিভাগ গঠনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। মন্ত্রিসভা-বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো বিভাগ গঠন করা সম্ভব নয়।’
‘এমতাবস্থায়, নোয়াখালী বিভাগ গঠনের প্রস্তাবটি নির্দেশক্রমে ফেরত দেওয়া হলো। এ বিষয়ে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।’
এরআগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো আবেদন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
আবেদনে বলা হয়, ‘নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা। নোয়াখালী জেলা ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি পূর্বে ভুলয়া নামে পরিচিত ছিল এবং ১৮৬৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নোয়াখালী নামকরণ করা হয়। ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি কালচারের জন্য একটি নোয়াখালী জেলার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।’
‘বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটির কাছাকাছি নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন প্রায় ৩৮৮৫.৮৭ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে নোয়াখালী জেলার আয়তন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ডুবোচরগুলো চরে পরিণত হয়ে এটি আরেক বাংলাদেশের সমান আয়তন হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।’
‘মোট নয়টি থানা নিয়ে নোয়াখালী জেলা গঠিত। নোয়াখালী বিভাগ নোয়াখালী ভাষায় কথা বলা লোকজনের প্রাণের দাবি। নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।’
আপনার মতামত লিখুন :