বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রক্তাক্ত ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানীতে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। চোরাগোপ্তা মিছিল এবং সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে, তাদেরই দেখা যাচ্ছে রাজপথে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
রাজারবাগে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কমিশনার নির্দেশনা দেন, চিহ্নিত ও সক্রিয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ লক্ষ্যে ডিএমপির ক্রাইম ও গোয়েন্দা বিভাগকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীতে কারা থাকছেন, কারা নতুন এসেছেন কিংবা কারা এলাকা ছেড়েছেন এসব তথ্য হালনাগাদে সিআইএমএস (সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ফরম পূরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিমাণ বাড়লেও সেগুলোর নিষ্পত্তির হার উদ্বেগজনকভাবে কম। অনেক আসামি এই সুযোগে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। কমিশনার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নে ব্লকরেইডসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলমান সহিংসতা ও অস্থিরতা বন্ধে পুলিশকে আরও সক্রিয় ও জনবান্ধব ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, থানা পুলিশকে এলাকায় টহল জোরদার করে স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ওসিদের উদ্দেশে বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে। কোনো ঘটনা আড়াল করা যাবে না। মামলার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধ যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক পুলিশি কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিনয়ী থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই দৃষ্টিকটু ও অপেশাদার আচরণ করা যাবে না। ডিএমপির প্রতিটি থানার ওসিকে মামলা তদন্ত করতে হবে। থানা এলাকার প্রতিটি ভবনের সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে থানার টহল টিমের সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :