রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪, ০১:১৫ এএম

মার্চ ফর জাস্টিস

সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪, ০১:১৫ এএম

সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুশিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সারাদেশে কয়েকশ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গণ-গ্রেফতার, মামলা, গুম ও  কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মুক্তিসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের সময় এসব ঘটনা ঘটে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট...

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসুচির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে ঠাকুরগাঁওয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আদালতে চত্বরে আসার ঘোষনা দিলে সকাল থেকে পুলিশ বিজিবি আদালত চত্বরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে অবস্থান নেয়। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের অপরাজয় ৭১ এর পাদদেশে সমবেত হয় এবং চৌরাস্তা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাঁধা ভেঙ্গে আটগ্যালারী পার হয়ে পৌরসভার গেটের কাছে আসলে পুলিশের ২য় ব্যারিকেটের মুখে। এখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা আকতার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের বেষ্টনী তৈরী করা হয়। পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এত ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয় এবং শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

চাঁদপুর প্রতিনিধি : কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের একাংশের আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভের শুরুতে শিক্ষার্থীরা জেলা জজ আদালতের সম্মুখে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয় এবং তাদেরকে সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে আসে। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘আমার খাও, আমার পর, আমাকে গিয়ে গুলি কর’ ‘তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও’ ‘আমার ভাই মরলো কেন, আমার বোন মরলো কেন, জবাব চাই, ‘দিয়েছিতো রক্ত আরো দেব রক্ত, জেগেছেরে জেগেছে,  ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ‘কোটা না মেধা, মেধা, মেধা...’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য তাদের শান্ত রাখতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম ও ডিবি ওসি এনামুল হক চৌধুরী।

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ডিবি হেফাজত থেকে অবিলম্বে ৬ সমন্বয়কের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে নোয়াখালীতে মার্চ ফর জাস্টিস করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টায় জেলা শহরের মাইজদী বাজার এলাকা থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হাতে হাত রেখে বিভিন্ন শ্লোগানে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নোয়াখালী জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে সমবেত হয়। পরে সেখানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চৌমুহনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় তারা সমন্বয়কদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-নিপীড়ন বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরুর আগেই মাইজদী বাজার, জেলা শহরের প্রধান সড়ক, জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। তবে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ কোনো ধরনের বাঁধা দেয়নি। এসময় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে বিভিন্ন যানবাহনগুলো বিকল্প রাস্তায় চলাচল করে।

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এছাড়া অন্তত ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এ লাটিচার্জের ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যশোর পৌরসভার সামনে জড়ো হয়। এসময় মিছিলের চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শহরের ইদগাহ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় পুলিশ একদফা বাঁধা দিলে তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে মিছিলটি পৌছালে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকা থেকে রনি, আকাশ, রানা, তৌহিদুল, রিয়াজ ও ইব্রাহিম নামে ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

খুলনা ব্যুরো : কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সারাদেশে ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলাকালে খুলনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কয়েকটি স্থানে লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে নগরীর রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ি, ডালমিল মোড়, ডাকবাংলা ও পিকচার প্যালেসসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।

জানা যায়, বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এসময় পুলিশকে পথচারীদের মোবাইল চেক করতে দেখা যায়। দুপুর ১২টার দিকে ময়লাপোতা এলাকায় শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আহসানুল্লাহ কলেজে আশ্রয় নেয়। তারা ভেতর ঢুকে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে তাদের আটক করে পুলিশ।

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোমিনুল করিম জানান, কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে ও তাদের অভিভাবকদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সকালে গোর-এ শহীদ ময়দানের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে কর্মসূচী পালন শুরু করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা সেখানে এসে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করে। এরপর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।

সিলেট ব্যুরো : সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’র মিছিল চলাকালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে নগরের মিরের ময়দান ও সুবিদবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে ছাত্ররা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছুটাছুটি করে অলিগলিতে ঢুকে পড়ে।

জানা যায়, কোটা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বুধবারের কর্মসূচি ছিল ‘মার্চ ফর জাস্টিস’। কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে শিক্ষার্থীরা হেঁটে মিছিল নিয়ে মহানগরের বন্দরবাজারের দিকে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে সুবিদবাজার এলাকায় এলে তাদের পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। শিক্ষার্থীরা তখন ব্যারিকেটটি ভেঙে বন্দরবাজার যেতে চাইলে পুলিশ ফের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং বন্দরবাজার আসতে পারেনি। সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করছি। ৯ দফা মেনে নিতে সরকারকে আন্দোলনকারীদের আহ্বান।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও ৯ দফা দাবিতে কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেন। সমাবেশে ৯ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমান, নকিব, আরিফসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা নগরী টাউন হল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে।

সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো ময়মনসিংহে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাস্তায় সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান। যেকোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বরিশাল ব্যুরো : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বিক্ষোভ চলাকালে আন্দোনকারীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়েছে। বুধবার সকালে পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় অন্তত ১০ আন্দোলনকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ফকিরবাড়ি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে তারা। এ সময় লাঠিপেটা করা হলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের আন্দোলনকারীরা ফজলুল হক অ্যাভিনিউর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা নগরভবনের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। যে কারণে আদালতের সামনের সড়কেই বসে পড়েন একদল ছাত্রী। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা পৌনে ১টার দিকে তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়।


আরবি/জেডআর

Link copied!