বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে আহত ১০৫ রোগির চিকিৎসায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে আগত চীনের চিকিৎসক দল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভকক্ষে চীনা মেডিকেল টিমের আগমন ও চিকিৎসার সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ্ মো: হেলাল উদ্দীন জানান, বাংলাদেশে আগত এই চীনা চিকৎসক দল ১৬০ জন রোগি দেখেছেন। এর মধ্যে ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন। চীনে ফিরে গিয়ে এই দল ১০৫ জন রোগির সার্বিক চিকিৎসার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিবেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১০৫ রোগির চিকিৎসা হবে। এছাড়া বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ থাকলে সেটাও করা হবে। সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ্ মো: হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকারের আমন্ত্রনে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই চিকিৎসক দল গত ২২ শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেন। এই সময়ের মধ্যে তারা ১৬০ জন রোগী ভিজিট করেছেন। এর মধ্যে তারা ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই টিমটি সীমিত সময়ের মধ্যে ৫টি হাসপাতাল ভিজিট করেছেন। রোগীদের দেখে ডাক্তারদের চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। এই টিমটি মূলত একটি অ্যাসেসমেন্ট টীম। তারা চীনে ফিরে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট পাঠাবেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, গুরুতর আহতদের ব্যাপারে আমাদের প্রাথমিক চেষ্টা থাকবে যাতে বাংলাদেশ সুচিকিৎসা করা যায়। চীনের মেডিকেল এসেসমেন্ট টিমের রিপোর্ট দেখে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে চাইনিজ এক্সপার্টেদের দেশে এনে অথবা প্রয়োজনের নিরিখে যদি আমাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি বা দক্ষতার ঘাটতি থাকে তাহলে আহতদের বিদেশে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করছি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুবই আন্তরিক। গুরুতর আহতসহ সকল আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন ঘাটতি থাকবে না।
অতিরিক্ত সচিব জানান, রোগিদের মধ্যে গুরুতর আহত রয়েছেন ৩ জন। এদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে আছন, ১ জন চোখে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। নার্ভ ইনজুরড কিছু রোগী রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, চীনা মেডিকেল টিম গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের চিকিৎসা আমরা আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এটি নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট, ক্যাপাসিটি লিমিটেশন আছে কিনা এ বিষয়টিও তারা দেখেছেন। এ জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে।
আপনার মতামত লিখুন :